বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বরিশাল বিএনপি। ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে জেলার নেতৃত্ব দিয়ে এখন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন বিলকিস জাহান শিরিন।
তবে তার এই উত্থানকে মেনে নিতে পারছেন না একসময় বরিশালের নেতৃত্বে দেয়া মুজিবুর রহমান সরোয়ার অনুসারীরা। তাই তার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বেশ জোরে শোরে। আর এতে ফুঁসে উঠেছে ইউনিয়ন থেকে শুরু করে পৌর, উপজেলা, মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতারা। সাংগঠনিকভাবে না পেরে বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন এর বিরুদ্ধে ভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দলে নিষ্ক্রিয় কয়েক বিএনপি নেতা ।
ইতিমধ্যেই এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকায় দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় একাধিক নেতার ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। বিএনপির একটি সুত্র জানায়, বিলকিস জাহান শিরিন জিয়া পরিবারের বিশস্ত ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পালনে বদ্ধপরিকর।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিএনপির কিছু পদবিন্যাস করা হয়।এসময় অনেকেই মনে করেছিলেন বিলকিস জাহান শিরিনকে সড়িয়ে সেখানে মাহবুবুল হক নান্নুকে ন্যাস্ত করা হবে এবং এ অনুযায়ী ঢাকায় ভালো লবিং ও করছিলেন নান্নু। কিন্তু সেই আশা ভেস্তে যায়।শিরিন আগের জায়গায় থাকে। এরপর বরিশাল মহানগর বিএনপির কমিটিতে শিরিনের অনুসারী জিয়াউদ্দিন সিকদার সদস্য সচিব হওয়ায় সাবেক সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদের পদবঞ্চিত হওয়াকে সহজভাবে মেনে নিতে পারে নি জাহিদ অনুসারীরা।
এ জন্য তারা টার্গেট করে সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনকে। এই ষড়যন্ত্রে আরও এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম উঠে আসছে। বরিশালে নিজের অবস্থান পোক্ত করতে শিরিনকে ঘায়েল মিশনে যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসছে। তিনি হলেন দলটির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ। কিন্তু আবু নাসের রহমাতুল্লাহ ফ্রিডম পার্টি থেকে বিএনপিতে এসেছেন। কর্মী শূন্য হওয়ায় এখন অবৈধ টাকা দিচ্ছে নেতা হতে। এ কারণে যারা প্রকৃত বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা রহমাতুল্লাহর প্রতি ক্ষুদ্র। বিএনপির আন্দোলনের সময় টাকা হরিলুট নিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে সেখানে কেন্দ্র থেকে এ বিষয়ে আলাপ করা হলে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মুঠোফোনে বলেন, একটি বিষয় মনে রাখতে হবে বিএনপি একটি দল, প্রতিষ্ঠান নয়,আমরা আমাদের নির্যাতিত, কারাবন্দী, ও গুমের শিকার পরিবারকে সকলে মিলে কিছু সহায়তা করি,সেটা কেন্দ্রীয় ভাবে মনিটরিং করা হয়,সাংগঠনিক সম্পাদক একক কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না। এ বিষয়ে পুর্বেই আমরা দলীয় স্টেটমেন্ট দিয়েছি।
এ সকল বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করবে, তাদের জন্য এ সকল ষড়যন্ত্র সাময়িক তৃপ্তিদায়ক হলেও এর স্থায়িত্ব খুব অল্প। সাংগঠনিকভাবে ব্যার্থ হয়ে কেউ যদি মিডিয়াকে বেছে নেয় তাহলে কিছুই করার নেই। অন্যদিকে সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুছুর রহমান।
তিনি প্রকাশিত সংবাদকে বায়বীয় উল্লেখ করে এ সংবাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপি, পটুয়াখালী, ভোলা,বরগুনা,ঝালকাঠী সহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা বিএনপি ছাত্রদল, যুবদল সহ অনান্য সংগঠন গুলোর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানায়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা জানান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন নয় আমাদের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী হায়দার বাবুলও ৪ দিনের মাথায় জামিন পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় অনেক নেতারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আদালতে জামিন পেয়েছেন। সেখানে শিরিন আপাকে ১০ দিন পর জামিন দিয়েছেন আদালত।
এখন শিরিনকে ঘায়েলে এটা ব্যবহার করা বোকামী। অন্যদিকে বিসিসি মেয়র ও তার ভাতিজার সাথে ১৯৯৮ সালের যে ছবি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে ওটা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি ঐ ছবি সম্পর্কে বিএনপি হাইকমান্ড অবহিত।